শুক্রবার ২৯ gvP© ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


মরদেহ উদ্ধার ও জানাজায় অংশ নিয়েছিল ঘাতক


আমাদের কুমিল্লা .কম :
01.02.2019

শিশু নাবিলাকে ধর্ষণ চেষ্টা ও হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লায় শিশু নাবিলাকে ধর্ষণ ও হত্যার পরদিন তার জানাজায় অংশ নিয়েছিল ঘাতক। মরদেহ উদ্ধারের সময়ও সে ঘটনাস্থলে অবস্থান করেছিল। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ও আদালতে এমনই তথ্য দিয়েছে গ্রেফতারকৃত মেহেরাজ হোসেন তুষার। বৃহস্পতিবার বিকালে কুমিল্লার আমলী আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইরফানুল হকের আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনার সাথে সে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডিবির ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা।
সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে নাবিলা আক্তারকে(৪) একই এলাকার ডা: আলী আশ্রাফের ছেলে মেহেরাজ হোসেন তুষার (২০) একটি নির্মাণাধীন ভবনে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় নাবিলা চিৎকার শুরু করলে তাকে গলা টিপে শ^াসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ওই ভবনের একটি রুমে সিমেন্টের বস্তার নিচে গুম করা হয়। পরদিন স্থানীয়রা সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
ডিবির ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, মামলা ডিবিতে আসার ডিবির একটি টিম এলাকায় তদন্ত শুরু করে। তদন্তে ঘাতক তুষারের সম্পৃক্তার প্রমাণ পেয়ে বুধবার বিকালে তাকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার ঘাতক তুষারকে আদালতে হাজির করার পর সে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখে উত্তেজিত অবস্থায় নাবিলাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার পর ঠান্ডা মাথায় লাশ গুম করা, শোকাহত স্বজনদের সাথে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও জানাজায় অংশ নেয়ার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর জবানবন্দী দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই সহিদার রহমান জানান, স্থানীয়ভাবে তদন্ত ও আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি শিশু নাবিলা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার একমাত্র আসামি তুষার। তাই তদন্তে ঘটনার রহস্য উদঘাটন হওয়ায় শিগগিরই আদালতে এই মামলার চার্জশিট প্রদান করা হবে।