শুক্রবার ৬১ রানে ৫ উইকেট শিকার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে দেওয়া নাঈমের বয়স ১৭ বছর ৩৫৬ দিন। এতদিন রেকর্ডটা ছিল প্যাট কামিন্সের দখলে। অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট নেওয়ার সময় অস্ট্রেলীয় পেসারের বয়স ছিল ১৮ বছর ১৯৩ দিন। তবে অভিষেক বাদে সবচেয়ে কম বয়সে ৫ উইকেট শিকারের রেকর্ড পাকিস্তানের নাসিমুল গনির। ১৯৫৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জর্জটাউন টেস্টে ১৬ বছর ৩০৩ দিন বয়সে কীর্তিটা গড়েছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। আর বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে কম বয়সে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব এনামুল হক জুনিয়রের। ২০০৫ সালে এই চট্টগ্রামেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৮ বছর ৩২ দিন বয়সে কীর্তিটা গড়েন তিনি।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের পর ইনিংসের ২৫তম ওভারে নাঈমের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক সাকিব। ৮ ওভারের প্রথম স্পেলে ৩৭ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন তরুণ অফস্পিনার। চা-বিরতির পর তো নাঈম রীতিমতো দুর্বার। দ্বিতীয় স্পেলে ৬ ওভার বল করে তার শিকার তিন উইকেট। ১৪-২-৬১-৫ বোলিং ফিগার একজন অভিষিক্ত ক্রিকেটারের জন্য স্বপ্নের মতো নিঃসন্দেহে।
বাংলাদেশের অষ্টম বোলার হিসেবে অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট শিকার করলেন নাঈম। অন্য সাত জন হলেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সোহাগ গাজী, মেহেদী হাসান মিরাজ, মঞ্জুরুল ইসলাম, ইলিয়াস সানি ও তাইজুল ইসলাম। এর মধ্যে দুর্জয়ের কীর্তিটা ছিল বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে, ভারতের বিপক্ষে ২০০০ সালের নভেম্বরে।
এ বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দলে থাকলেও একাদশে সুযোগ পাননি নাঈম। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে অবশ্য তেমন অভিজ্ঞতা নেই তার। ১৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪৮ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। তবে সদ্যসমাপ্ত জাতীয় ক্রিকেট লিগে ছিল দারুণ পারফরম্যান্স। ৫ ম্যাচে ২৮ উইকেট নিয়েছেন, যার মধ্যে একটি ইনিংসে ছিল ৮ উইকেটও। সেই সাফল্য সঙ্গে নিয়েই অভিষেক টেস্টে জ্বলে উঠলেন চট্টগ্রামের ‘ঘরের ছেলে’ নাঈম হাসান।