শুক্রবার ২৯ gvP© ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


মুশফিককে সরিয়ে টেস্ট অধিনায়ক সাকিব


আমাদের কুমিল্লা .কম :
10.12.2017


স্টাফ রিপোর্টার।। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। রবিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানা গেছে। মাশরাফি মুর্তজা টি-টোয়েন্টি দল থেকে অবসরের পর গত এপ্রিলে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব পান সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এখন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্বও পেলেন। বিসিবি জানিয়েছে, সাদা পোশাকের ক্রিকেটে সাকিবের ডেপুটি মাহমুদউল্লাহ।

২০১৪ সালে মাশরাফির হাতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়, আর মুশফিক শুধু থাকেন টেস্ট অধিনায়ক। গত ৪ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার ঠিক আগে ২০ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মাশরাফি। তখনই টি-টোয়েন্টির পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম উঠে আসে আলোচনায়। অনুমিতভাবে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরেই, এবার টেস্টেও পেলেন নেতৃত্ব।

সাকিবকে অধিনায়ক নির্বাচনের বিষয়ে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘আগামী সিরিজ থেকে আমাদের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সাকিব আল হাসান। সহ-অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে সহায়তা করবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।’

মুশফিককে সরিয়ে টেস্ট নেতৃত্বে পরিবর্তনের ব্যাখ্যা বিসিবি সভাপতি দিলেন এভাবে, ‘বিশেষ কোনও কারণ যে নেই, তা নয়। কিন্তু কারণ বলা যাচ্ছে না। আমরা মনে করেছি, এখানে একটা পরিবর্তন হওয়া দরকার। মুশফিক বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান, তার ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত। সব মিলিয়ে আমরা কিছু পরিকল্পনা করেছি, সেটারই একটা ধাপ এটি। অন্য জায়গাতেও পরিবর্তন আসবে।’

টি-টোয়েন্টির পর টেস্টেও সাকিব অধিনায়ক হলেন। তাহলে কি ওয়ানডেতেও পরবর্তী অধিনায়ক এই অলরাউন্ডার? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘ওয়ানডেতে আমাদের অধিনায়ক মাশরাফি। এখন ওয়ানডে নেতৃত্বে পরিবর্তন সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে হয়তো সাকিব তিন সংস্করণে অধিনায়ক হতে পারে। তবে মাশরাফি যতদিন আছে, ততদিন ওয়ানডেতে অন্য কারও অধিনায়ক হওয়ার সুযোগ নেই।’

বাংলাদেশের ক্রিকেটের মহাতারকা সাকিব ২০০৯ সালে প্রথম নেতৃত্ব পেয়েছিলেন জাতীয় দলের। সে বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা ইনজুরিতে পড়লে তার কাঁধে পড়ে নেতৃত্বভার। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টেস্ট জিতে শুরু হয়েছিল তার অধিনায়কত্ব। কিন্তু ৯ টেস্টের বাকি ৮টি ম্যাচই হেরেছেন অধিনায়ক সাকিব। ২০১১ বিশ্বকাপে তার অধিনায়কত্বে খেলেছিল টাইগাররা। ওই বছরই জিম্বাবুয়ে সফরে দলীয় ব্যর্থতা আর শৃঙ্খলা ভঙ্গের জের ধরে অধিনায়কত্ব হারান সাকিব। এরপর কয়েক বছর আর বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে দেখা যায়নি তাকে। তবে এ বছর আবার শুরু হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাকিব-যুগ।

সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ার ৫১ ম্যাচের। যেখানে ৫টি সেঞ্চুরি ও ২২টি হাফসেঞ্চুরিতে তার রান ৩ হাজার ৫৯৪। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের (২১৭ রান) মালিক তিনি। বাঁহাতি স্পিনে নিয়েছেন ১৮৮ উইকেট। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন দুবার, আর ইনিংসে ৫ উইকেট ১৭ বার।