শুক্রবার ১৯ GwcÖj ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement
  • প্রচ্ছদ » sub lead 2 » তিন সন্দেহভাজনকে বিচারের আওতায় আনার দাবি তনুর মায়ের


তিন সন্দেহভাজনকে বিচারের আওতায় আনার দাবি তনুর মায়ের


আমাদের কুমিল্লা .কম :
08.11.2017


মাসুদ আলম।।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে হত্যার ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। তবে কবে নাগাদ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে, তা বলতে রাজি হয়নি মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) থেকে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর)—এই তিন দিন ঢাকা সেনানিবাসে এনে সার্জেন্ট জাহিদ, তার স্ত্রী ও সিপাহী জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। এই তিন জনই তনুর পরিবারের সন্দেহভাজন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জালাল উদ্দীন। এদিকে, সার্জেন্ট জাহিদসহ সন্দেহভাজন তিন জনকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তনুর মা আনোয়ারা বেগম।

আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘কুমিল্লা সেনানিবাসের তৎকালীন সার্জেন্ট জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সিআইডি আমাদের জানিয়েছে। সার্জেন্ট জাহিদ, তার স্ত্রী ও সিপাহি জাহিদকেও আমি সন্দেহ করি। তাদের শুধু জিজ্ঞাসাবাদ নয়, তাদের তিন জনকে বিচারের আওতায় আনা হোক।’ এই তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের আইনের আওতায় আনতে পারলেই তনু হত্যার ক্লু বেরিয়ে আসবে।’

তনুর মা বলেন, ‘ঘটনার দিন ছাত্র পড়ানোর জন্য সার্জেন্ট জাহিদের বাসায় গিয়েছিল তনু। খুন হওয়ার মাস তিনেক আগে সার্জেন্ট জাহিদের কথায় তার বাসায় টিউশনির কাজ নিয়েছিল তনু। আমার ধারণা, গত বছরের ২০ মার্চ তনুকে ওই বাসায়ই হত্যা করার পর ঝোপের মধ্যে ফেলে যায় হত্যাকারীরা। ২০ মাস ধরে শুধু জিজ্ঞাসাবাদই চলছে। সিআইডি তনুর কাপড়ে তিন জনের শুক্রাণু পেয়েছিল, দীর্ঘ সময় ধরে তা ম্যাচ করা হচ্ছে না কেন?’

তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরাও আজ খুব অসুস্থ। মেয়ে হত্যাকারীর বিচার দেখতে পাব কিনা, আল্লাহ জানে! তনু হত্যার পর থেকে তার মা খুব অসুস্থ। দুই ছেলেও পাশে নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমি সিআইডিকে বলব, আর জিজ্ঞাসাবাদ নয়, হত্যাকারীদের শনাক্ত করুন, তাদের আইনের আওতায় আনুন।’

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘তনুর হত্যাকারী বলে তনুর মা যাদের সন্দেহ করেছেন, তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমরা হত্যার ক্লু উৎঘাটনে কাজ করে যাচ্ছি।’ তবে তিনি এ নিয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরের একটি জঙ্গল থেকে সোহাগী জাহান তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। ওই বছরের মে মাসে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে ৩ জনের শুক্রাণু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। একই সঙ্গ হত্যার আগে তনুকে ধর্ষণ করা হয়েছিল তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন।