তৈয়বুর রহমান সোহেল।।
কলেজ ও ব্যাংকের সমন্বয়হীনতায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের। ফরম পূরণের জন্য কলেজ থেকে অল্প সময় বেঁধে দেয়ায় ও ব্যাংকে লোকবল সংকটের কারণে ফরম পূরণের জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি প্রদান করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য কলেজ থেকে ব্যাংকের সাথে কোনো ধরনের সমন্বয় না করে ফরম পূরণের জন্য নির্ধারিত ফি শুধুমাত্র সোনালী ব্যাংকের শিক্ষাবোর্ড শাখায় শিক্ষার্থীদের প্রদান করতে বলায় এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। জানা যায়, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের ভর্তি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় ফি প্রদান করতে হয় সোনালী ব্যাংক কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড শাখার মাধ্যমে। গত ৫ জুলাই অনার্স ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ফরম পূরণের জন্য ২০ তারিখ পর্যন্ত সময় দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল সরকারি মহিলা কলেজে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ইতিমধ্যে কলেজের বেশিরভাগ বিভাগে ফরম পূরণের তারিখ পেরিয়ে গেছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে সময় দিয়েছে, তার কয়েকদিন আগেই ফরম পূরণের কাজ শেষ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বাকি কয়েকটি বিভাগে কলেজ কর্তৃক ফরম পূরণের তারিখ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এদিকে শুধুমাত্র সোনালী ব্যাংকের শিক্ষাবোর্ড শাখায় ওই কলেজের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ব্যাংক ড্রাফট করতে হয় বিধায় ফরম পূরণ চলাকালে শিক্ষার্থীদের অসহনীয় দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। গতকাল সোনালী ব্যাংকের শিক্ষাবোর্ড শাখায় গিয়ে দেখা যায় ছাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। ব্যাংকের ভেতর গাদাগাদি করে দাঁড়ানোর পরও ছাত্রীদের দীর্ঘ লাইন চলে যায় শিক্ষাবোর্ড লাগোয়া পুকুরের কাছাকাছি। শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত চাপ আর ব্যাংকে লোকবলের অভাবে কয়েকঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ছাত্রীদের। এ বিষয়ে অন্তত বিশজন ছাত্রী জানায়, শুধুমাত্র ব্যাংকের একটি শাখায় কলেজের সকল শিক্ষাবর্ষের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনায় বাধ্য করায় তাদেরকে রীতিমত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
ব্যাংক ম্যানেজার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করতে এখানে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। তারপরও শিক্ষার্থীদের বিষয়টি মাথায় রেখে একটি কাউন্টারের পরিবর্তে দুটি কাউন্টারে টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমিন ভূঁইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।