শুক্রবার ২৯ gvP© ২০২৪
Space Advertisement
Space For advertisement


দুর্নীতির অভিযোগে সিএনএফের কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জিয়াকে শাসালেন সেতুমন্ত্রী


আমাদের কুমিল্লা .কম :
17.06.2017

মাসুদ আলম।। দুর্নীতির নানা অভিযোগে দাউদকান্দি টোলপ্লাজার টোল এবং ওজন স্কেলে দায়িত্বরত টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান সিএনএফ এর কর্মকর্তা মেজর (অব.) জিয়াউর রহমান জিয়া এবং তার লোকজনকে শাসিয়ে সতর্ক করলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত ১৩ মার্চ দৈনিক আমাদের কুমিল্লা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে “মেঘনা-গোমতী সেতুতে স্কেলের নামে চাঁদাবাজি” শিরোনামে একটি সংবাদ।

ওই সংবাদটি দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী এবং পৌর মেয়র নাঈম ইউসূফ সেইনসহ প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের চোখে পড়ে।

শুক্রবার মেঘনা-গোমতী সেতু টোলপ্লাজা অনলাইন ওয়েব বেইজড এক্সেল লোড ওয়েয়িং স্কেল সিস্টেম বর্ধিতকরণ প্রকল্পের উদ্বোধন কালে ব্যাপক দুর্নীতি করছে বলে সাংবাদিকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী তাকে শাসিয়েছেন। এমনকি দাউদকান্দি টোলপ্লাজায় যাতে কোন প্রকার দুর্নীতি না হয় সেজন্য দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী এবং পৌর মেয়র নাঈম ইউসূফ সেইনকে দায়িত্ব দেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দির মেঘনা-গোমতী সেতুতে ওভারলোড গাড়ি নিয়ন্ত্রণে স্কেল বসিয়ে চাঁদা আদায়ের কারণে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ যানজটের ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রী সাধারণকে। পবিত্র মাহে রমজানে সেহরি খাওয়া কয়েক শতাধিক যাত্রীবাহী গাড়ি আটকে পড়ার কারণে সকল প্রকার সংবাদপত্রের গাড়ি সমূহ গন্তব্যস্থলে ঠিক মত পৌঁছাতে পারে না। রোগীবাহী এম্বুলেন্স এবং যাত্রবাহী গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে দুর্ভোগের শিকার হয়।
কর্মরত পুলিশ সদস্যদের তথ্য মতে মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার মেঘনা গোমতী সেতুতে টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান সিএনএফ ওভারলোড গাড়ি নিয়ন্ত্রণে সেতুতে স্কেল মেশিন বসায়। যার ফলে অতিরিক্ত মালবোঝাই ট্রাক ও লংভেহিকেল গাড়িগুলো থামিয়ে রেখে ওজন করার কারণে সেতুর উভয় পার্শ্বে দীর্ঘ ১৫/২০কিলোমিটর যানজটের সৃষ্টি হয়। সেতু ওপর দিয়ে সরকার নির্ধারিত ওজনের গাড়িগুলো চলাচলে নির্দেশ রয়েছে। আর অতিরিক্ত মালবোঝাইয়ের গাড়িগুলো ফেরত দেওয়া বা সেই গাড়িরগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান, কিছু দালাল এবং আনসার সদস্যরা ওইসব পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করে ছেড়ে দিচ্ছে। আবার কিছু মালবোঝাই ট্রাক ও কন্টেইনারে মাল কম হলেও তাদের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। কিছুদিন আগে চালকদের সাথে দালালদের উৎপাতের কারণে গাড়ির চাপায় এক দালাল নিহত হয়েছে।