দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রত্নতত্ব নিদর্শন ও পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে গিয়ে শেকড় সন্ধানী অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ ধারণ করা হয়ে থাকে। সে ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে সাতক্ষীরায় সৌন্দর্যের অপার লীলায় সজ্জিত বিশ্ব ঐতিহ্যের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবনের কোলে নির্মিত আকাশলীনা পর্যটন কেন্দ্রে।
সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির এ পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে আজ ৩১ মার্চ শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর।
এবারের পর্বে সাতক্ষীরা ও সুন্দরবনের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা নিয়ে রয়েছে তিনটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন।
ইজিবাইকের ভয়াবহ স্কার্ফ দুর্ঘটনা নিয়ে রয়েছে একটি সচেতনতামূলক প্রতিবেদন। যে ইজিবাইকের কারণে অনেক নারীর স্বাভাবিক জীবন হয়ে যাচ্ছে বিপন্ন। মুক্তাগাছা উপজেলার নিভৃত পল্লীতে তিন বিদেশি নাগরিকের প্রতিষ্ঠিত একটি কৃষি খামারের ওপর রয়েছে একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিবেদন। যারা এই খামারে উৎপাদিত ফসল এবং গবাদিপশুর মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে গ্রামে অনেক সেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
এবারের বিদেশি প্রতিবেদন করা হয়েছে স্পেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বার্সেলোনার আকর্ষণীয় স্থান মিউজিয়াম অব ইলুউশনের ওপর। এবারের ইত্যাদিতে মূল গান রয়েছে একটি। স্বাধীনতার এই মহান মাসে দেশকে নিয়ে দেশাত্মবোধক এ গানটি গেয়েছেন নন্দিত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। গানটি লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। সুর করেছেন আলী আকবর রুপু।
লোক সংস্কৃতির এক বিস্ময়কর ধারা সাতক্ষীরার পটগান। যে গানে উঠে আসে সমাজ-সংস্কৃতি-শিক্ষাসহ আরো বহু বিষয়। এবারের ইত্যাদিতে সেই পটগান পরিবেশন করেছেন সাতক্ষীরার সুশীলন সাংস্কৃতিক দলের শিল্পীরা। এবারে সাতক্ষীরা ও সুন্দরবনকে ঘিরে করা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে হাজার হাজার দর্শকের মধ্য থেকে ৪ জনকে নির্বাচন করা হয়। বিচিত্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী সাতক্ষীরার ‘মুন্ডা’ শিল্পীদের পরিবেশিত নৃত্যের অনুকরণ নিয়ে করা হয় দ্বিতীয় পর্ব। যা হবে বেশ উপভোগ্য। দর্শকদের অনুরোধে দীর্ঘদিন পর এই পর্ব থেকে বাড়ির দর্শকদের জন্যও ধাঁধা দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও আমাদের চলমান জীবনের নানান অসঙ্গতি ও সমকালীন প্রসঙ্গ নিয়ে দর্শকদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, ভাবনা নিয়ে নুতন আর একটি পর্ব সংযুক্ত হয়েছে এবারের পর্বে। অর্থাৎ ইত্যাদির এই পর্ব থেকে দর্শকদের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াকে নাট্যাংশে রূপান্তরিত করে প্রচার করা হবে। নিয়মিত পর্ব হিসেবে এবারও রয়েছে যথারীতি মামা-ভাগ্নে, নানী-নাতি ও চিঠিপত্র বিভাগ। রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস ও নাট্যাংশ। দৃশ্যপটে পাত্র-অদৃশ্যপটে অনিয়ম, টকশোর টক্কর, সেবার যন্ত্রণা, সরাসরির ছড়াছড়ি, তারকার দ্যুতি- দু’দিনের না চিরদিনেরসহ বিভিন্ন সাম্প্রতিক বিষয়ের ওপর রয়েছে বেশ কয়েকটি নাট্যাংশ। বরাবরের মতো এবারও ইত্যাদির শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন মুকিমুল আনোয়ার মুকিম।
ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিকস্ লিমিটেড।