যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তথ্য আদায়ের জন্য বন্দীদের নির্যাতন করা পুরোপুরি কার্যকর একটি প্রক্রিয়া বলে তিনি বিশ্বাস করেন। খবর বিবিসির।
তবে ওয়াটারবোর্ডিংয়ের মতো নির্যাতন প্রক্রিয়া পুনরায় ফিরিয়ে আনা উচিত কিনা এ বিষয়ে তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং গোয়েন্দা সংস্থা, সিআইএ’র পরিচালক তার সঙ্গে একমত নন।
যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মধ্যপ্রাচ্যে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের নিষ্ঠুরতা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আগুন দিয়েই আগুনের মোকাবেলা করতে হবে।’
অন্যদিকে সিআইএ’র সাবেক পরিচালক লিওন প্যানেট্টা নির্যাতন নিয়ে মি: ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন ‘নির্যাতনের বিষয়ে এমন পশ্চাৎপদ পদক্ষেপ হবে গুরুতর ভুল।’
তবে মি: ট্রাম্প বলছেন তিনি তার দেশকে নিরাপদে রাখতে চান।
‘তারা গুলি করছে, আমাদের নাগরিকদের এবং অন্য দেশের মানুষের মাথা কাটছে- মধ্যপ্রাচ্যে খ্রিস্টান বাসিন্দা হবার কারণে তারা এমনটা করছে। আইসিস যেসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তা মধ্যযুগীয় আমলের পর আর কেউ শোনেনি। তাহলে কি আমাকে ওয়াটারবোর্ডিংয়ের কথা ভাবতে হবে’- বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
‘আমি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, নির্যাতন কাজ করে কিনা এ প্রশ্নও তাদের করেছি। তারা কিন্তু বলেছে তথ্য আদায়ে নির্যাতন আসলেই কাজ করে।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারণার সময়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন তাহলে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ওয়াটারবোর্ডিংসহ জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি ফিরিয়ে আনবেন।
যদিও পরে তিনি অবস্থান পাল্টে বলেছিলেন তিনি সেনাবাহিনীকে আন্তর্জাতিক আইন ভাঙার মতো কোনো নির্দেশ দিবেন না।